আলোচিত পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের জন্য মহাপরিচালক পদ খালি রাখতে আগের দেওয়া আদেশ তুলে নিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। খন্দকার এনামুল বাছিরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
আদেশের পর খুরশীদ আলম খান বলেন, ২ জানুয়ারি তার এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন। পরে ২৯ জানুয়ারি আদালত একটি মহাপরিচালক পদ খালি রাখতে নির্দেশ দেন। আজ কাগজপত্র দিয়ে আদালতে বলেছেন ইনি বরখাস্ত আছেন, তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এরপর আদালত ২৯ জানুয়ারির দেওয়া আদেশ তুলে নিয়েছেন। এখন ওই মহাপরিচালক পদে নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই।
আইনজীবী কামাল হোসেন বলেন, মহাপরিচালক পদে পদোন্নতি পেতে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত জানুয়ারিতে রিট করেন এনামুল বাছির। আদালত তখন রুল দিয়েছেন কেন তাকে প্রমোশন দেওয়া হবে না। পরে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন যে, দুদকের আটটি মহাপরিচালক পদের মধ্যে একটি তার জন্য খালি রাখতে। আজ রুলটা শুনানির জন্য ধার্য ছিল। যেহেতু ইতোমধ্যে তিনি সাসপেন্ড হয়েছেন, সে কারণে তার জন্য পদ খালি রাখার আদেশ ভ্যাকেট (আদেশ তুলে নেওয়া হলো) করা হলো। রুলটি পরবর্তীতে শুনানি হবে ওনার বিভাগীয় তদন্তের পর। যদি উনি তদন্তে জেতেন তাহলে রুল শুনানি হবে। আর তিনি যদি ডিসমিসড (চাকরিচ্যুত) হন তাহলে রুলটা অকার্যকর হবে।
আদালত দুদকের আইনজীবীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন তদন্ত কবে শেষ হবে- জবাবে উনি বলেছেন একমাসের মতো সময় লাগতে পারে। এরপর আদালত রুল শুনানির জন্য ২৫ আগস্ট দিন ঠিক করেছেন।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে সংস্থাটি।