সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে উঠে যাওয়া বিয়ের মাইক্রোবাসকে ট্রেনের ধাক্কা দেওয়া ঘটনায় নিহত ১১ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
নিহতরা হলেন- সদ্য বিবাহিত বর সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে রাজন শেখ (৩২), কনে উল্লাপাড়া উপজেলার এনায়েতপুর গুচ্ছগ্রামের মৃত গফুর শেখের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (২১), বরের মামা কান্দাপাড়া গ্রামের শামীম হোসেনের ছেলে আলিফ ওরফে বায়েজিদ (৯), বরযাত্রী চুনিয়াহাটি গ্রামের ভাষা শেখ (৫৫), রামগাতি এলাকার আব্দুল মতির ছেলে আব্দুস সামাদ (৫০), তার ছেলে শাকিল (২০), বরের বন্ধু দিয়ারধানগড়া এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে শরীফুল ইসলাম (২৬), চাচাতো ভগ্নিপতি রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণদিয়ার গ্রামের আলম শেখের ছেলে খোকন শেখ (৩৫), কনের বড় ভাই উল্লাপাড়া উপজেলার এনায়েতপুর গুচ্ছগ্রামের আশরাফ আলীর স্ত্রী মমতা বেগম (৩৫), মাইক্রোবাস চালক কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল গ্রামের নূরে আলম স্বাধীন (৫৫), চালকের সহকারী সয়াধানগড়া এলাকার সুরুত আলীর ছেলে আব্দুল আহাদ সুজন (২১)।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- বরের ভগ্নিপতি পৌর এলাকার রায়পুর এলাকার আবু মুছার ছেলে সুমন (৩০), কান্দাপাড়া গ্রামের ইয়াকুবের ছেলে বায়েজিদ (২৮), মাসুদ সরকারের ছেলে ইমরান সরকার (২৭), বাবুর ছেলে লাদেন (১৬) ও টুটল (৩০)।
পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়া রাতেই মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ১১টার থেকে দুপুর (বাদ জোহর) পর্যন্ত স্ব-স্ব এলাকায় নিহতদের নামাজে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার ও আহতদের ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেল সড়কে উল্লাপাড়া উপজেলার বেতকান্দি এলাকায় অরক্ষিত ক্রসিং পার হওয়ার সময় পদ্মা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় প্রাণ হারান বিয়ের মাইক্রোবাসে থাকা বর-কণেসহ ১১ জন যাত্রী।