মিল্ক ভিটার পর পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিপণনের অনুমোদন পেয়েছে ফার্ম ফ্রেশ ও প্রাণ মিল্ক। ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে হাইকোর্ট ২৮ জুলাই নিষেধাজ্ঞা আদেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে প্রাণ মিল্ক ও ফার্ম ফ্রেশের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি আবেদন করে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ ও প্রাণ ডেইরি লিমিটেডের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশের অংশটি পাঁচ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন।
একই সঙ্গে কোম্পানিন দুটিকে হাইকোর্টের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে তাদের এই আদালতে পৃথক আবেদন করতে বলা হয়েছে।
এ সময় আদালতে দুই কোম্পানির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, ফার্ম ফ্রেশ ও প্রাণ দুধে যে মাত্রায় সীসা ও অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে তা বিপদ সীমা অতিক্রম করেনি।
চেম্বার বিচারকের আদেশের পর পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিপণনের ওপর আর কোনো আইনগত বাধা রইল না বলে জানান তিনি।
এর আগে সোমবার (২৯ জুলাই) রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ মিল্ক প্রডিউসারস কো-অপারেটিভ ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্কভিটা) পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিক্রির ওপর হাইকোর্টের জারি করা নিষেধাজ্ঞা আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।
বিএসটিআইর অনুমোদন প্রাপ্ত ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও সীসার উপস্থিতি থাকায় হাইকোর্ট ২৮ জুলাই বাজারে থাকা ১৪ কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিপণন পাঁচ সপ্তাহের জন্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে এসব দুধ ক্রয় ও মজুদ করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছিল।
উৎপাদন ও বিপণন স্থগিত থাকা অপর ১১টি কোম্পানির ব্র্যান্ডগুলো হলো- আফতাব মিল্ক অ্যান্ড মিল্ক প্রোডাক্টস লিমিটেডের আফতাব, আমেরিকান ডেইরি লিমিটেডের মু, বারো আউলিয়া ডেইরি মিল্ক অ্যান্ড ফুডস লিমিটেডের ডেইরি ফ্রেশ, ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রজেক্টের আড়ং ডেইরি, ড্যানিশ ডেইরি ফার্ম লিমিটেডের আয়রান, ইছামতি ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টসের পিউরা, ইগলু ডেইরি লিমিটেডের ইগলু, উত্তরবঙ্গ ডেইরির মিল্ক ফ্রেশ, শিলাইদহ ডেইরির আল্ট্রা, পূর্ব বাংলা ডেইরি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের আরওয়া ও তানিয়া ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টসের সেফ।