অবশেষে টাঙ্গাইলের কোরবানির জন্য প্রস্তুতের সময় লাফিয়ে ওঠা ক্ষিপ্ত সেই মহিষটিকে ২৫ ঘণ্টা পর নিবৃত্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভুঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা বিলে অবস্থানরত মহিষটিকে ইনজেকশন দিয়ে নিস্তেজ করে ঢাকা থেকে আসা প্রাণিসম্পদের একটি টিম।
পরে সেটিকে উদ্ধার করে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মহিষটিকে দেখতে উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করেন। সোমবার সারা দিন-রাত চেষ্টা করেও মহিষটিকে উদ্ধার করা যায়নি। এর আগে ওই মহিষের গুতোয় অন্তত ১২ জন আহত হয়।
ভুঞাপুর থানার এসআই শামছুল ইসলাম বলেন, মহিষটিকে উদ্ধারের জন্য ঢাকা থেকে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি দল ঘটনাস্থলে আসেন। তারা নৌকাযোগে নিকলা বিলে অবস্থানরত মহিষটিকে ইনজেকশন পুষ করেন। এরপর ধীরে ধীরে মহিষটি দুর্বল হয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরে ভূঞাপুর উপজেলা প্রশাসন, ভুঞাপুর থানা পুলিশ ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সেটিকে উদ্ধার করে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ঈদ উপলক্ষে ঘাটাইলের যুগিহাটি গ্রামের আরিফুল সরকারের বাড়িতে একটি মহিষ কয়েকজন মিলে কোরবানি দেওয়ার জন্য কিনেছিলেন।
সোমবার কোরবানি দেওয়ার সময় হঠাৎ লাফিয়ে ওঠে মহিষটি। পরে সেখানে থাকা বেশ কয়েকজনকে আহত করে মহিষটি ভুঞাপুর উপজেলার কাগমারি পাড়ায় চরে চলে যায়। পরে ওই মহিষটিকে নিবৃত্ত করতে সন্ধ্যার দিকে ১ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এতে মহিষটি সরে গেলে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর হাজারো উৎসুক জনতা চলে আসলে পুনরায় গুলি করা সম্ভব হয়নি। পরে মহিষটি রাতেই কাগমারি থেকে অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা বিলে চলে যায়।