স্টাফ রিপোর্টাল : দেশের করোনা প্রকোপের পরিস্থিতি দিনদিন অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হারে বাড়ছে। সবচেয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে ঢাকার মিরপুর। আর জেলাগুলোর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ।
সরকারের রোগতত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) জানিয়েছে, এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৩৩০জন, চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৩জন। আর মৃত্যুবরণ করেছেন ২১জন।
একমাত্র ঢাকা সিটিতেই ১৯৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মিরপুরে সবচেয়ে বেশি। এখানে ৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। কাজীপাড়ায় ১জন, মিরপুর-১০ নম্বরে ৩ জন, মিরপুর-১১ নম্বরে ৬ জন, মিরপুর-১২ নস্বরে ২ জন, মিরপুর-১৩ নম্বরে ১ জন, মিরপুর-১ নম্বরে ১১ জন, শাহ আলী বাগে ২ জন, পীরেরবাগে ২ জন, টোলার বাগে ৮ জন ও উত্তর টোলার বাগে ৬ জন আক্রান্ত হয়েছে।
উত্তরায় ১৬ জন, ধানমন্ডিতে ১৩ জন, বাসাবোতে ১১জন, ওয়ারিতে ১০জন, মোহাম্মদপুরে ৮জন, লালবাগে ৮ জন, যাত্রাবাড়ীতে ৬ জন ও গুলাশানে ৬জন আক্রান্ত।
আর ঢাকার বাইরে করোনার সবচেয়ে বড় জোন হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ। এখানে ৫৯জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া ঢাকা জেলায় ১৩জন, গাজীপুরে ২ জন, জামালপুরে ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ১ জন, মাদারীপুরে ১১জন, মানিকগঞ্জে ৩ জন, নরসিংদী ৪জন, রাজবাড়ীতে ১ জন, টাঙ্গাইলে ২জন, শরীয়তপুরে ১ জন ও শেরপুরে ২ জন আক্রান্ত হয়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে ৯জন, কক্সবাজারে ১ জন, কুমিল্লায় ৪জন, মৌলভীবাজারে ১জন, সিলেটে ১জন, রংপুরে ২জন, গাইবান্ধায় ৮ জন, নীলফামারীতে ১জন, চুয়াডাঙ্গায় ১জন ও ময়মনসিংহে ৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে পাবনায় করোনার উপসর্গ নিয়ে বেশ ক’জন মারা গেলেও তাদের শরীরে করৌনার সংক্রমন পাওয়া যায় নাই। তবে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন গার্মেন্টসে কর্মরত পাবনার শ্রমিকরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নৌপথে তাদের নিজ নিজ বাড়ীতে ফিরে এসে কোয়ারেন্টাইনের ধার না ধারায় প্রচন্ড ঝুঁকিতে রয়েছে এই জেলা।
করোনায় আক্রান্তের হার কমাতে বা প্রতিরোধ গড়ে তুললে দেশব্যাপী সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এ ছুটি রাখা হয়েছে ‘সামাজিক দুরত্ব’ নিশ্চিত করার জন্য। এটা নিশ্চিত করতে মাঠে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মাঠে নামানো হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরও। কিন্তু এখন সামাজিক দুরত্ব সঠিকভাবে নিশ্চিত হয়নি।
আইইডিসিআর বলছে, বাংলাদেশে সামাজিকভাবে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা শুরু হয়ে গেছে। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বেরুতে মানা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাইরে গেলে ফিরেই সাবার পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়ার জন্য। এছাড়া হাত দিয়ে নিজের চোখে, মুখে, নাকে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।