Wednesday , April 16 2025
ব্রেকিং নিউজ
Home / অন্যান্য খবর / রাজশাহীতে স্থাপিত হচ্ছে করোনা পরীক্ষার দ্বিতীয় ল্যাব

রাজশাহীতে স্থাপিত হচ্ছে করোনা পরীক্ষার দ্বিতীয় ল্যাব

উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি : করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহীতে আরেকটি ল্যাব প্রস্তুত করা হচ্ছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগের প্যাথলজি বিভাগে ল্যাবটি চালু করা হবে। ল্যাবের জন্য আরেকটি পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিনেরও ব্যবস্থা হয়েছে।

ল্যাবটি চালু করতে রামেক হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা গতকাল রোববার দুপুরে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। পরে ফলে এমপি বাদশা নিশ্চিত করেছেন যে এখানে আরেকটি ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তারা আরেকটি পিসিআর মেশিনের ব্যবস্থা করেছেন।

তিনি জানান, উত্তরাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতাল একটা ভরসার জায়গা। সে জন্য এর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি মনে করেন, সন্দেহজনক করোনা রোগির যত বেশি পরীক্ষা করা যাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা তত বেশি সহজ হবে। সে জন্য তিনি আরেকটি ল্যাব স্থাপনের দিকে মনোযোগী হন। তারা আরেকটি পিসিআর মেশিনের ব্যবস্থা করতে পেরেছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ল্যাব চালু করা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগি শনাক্ত হবার পরই রাজশাহীতে ল্যাব স্থাপনের জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেন রামেক হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা। তার প্রচেষ্টায় আসে পিসিআর মেশিন। এরপর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগে দ্রুত ল্যাব প্রস্তুত করে মেশিনটি স্থাপন করা হয়। ১ এপ্রিল থেকে ল্যাবটি পরীক্ষার কাজ চালু করা হয়। এখন সেখানে প্রতিদিন ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে।

পরীক্ষায় গতকাল সন্ধ্যায রাজশাহী বিভাগের প্রথম একজন করোনা রোগির শনাক্ত হয়। এর পর চিকিৎসরা আরও সতর্ক রয়েছেন সবাই। চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত আছেন হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্সরা। ইতোমধ্যে চিকিৎসক ও নার্সদের কয়েকটি দলকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। রবিবার হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা তাদের মানসিক শক্তি জোগাতে সাহস দিয়েছেন। তিনি বলেন, সবাই মিলেই কঠিন সময় মোকাবিলা করতে হবে।

রামেক হাসপাতালে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের রোগি এলে যেন চিকিৎসা করা যায় তার জন্য ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ভবনটিকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই ভবনেই রয়েছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে সেখানে রোগিদের কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস নিশ্চিত করারও ব্যবস্থা রয়েছে। ভেন্টিলেটরের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

মানুষকে সতর্ক করতে রামেক হাসপাতালের সামনে থাকা ডিজিটাল বিলবোর্ডটিও পাল্টে গেছে। সেখানে নতুন করে লেখা হয়েছে, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না, বীরেরা এখানে কাজ করছেন। আপনি ঘরে থাকুন। করোনাযুদ্ধে লড়ে যাওয়া চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎসাহ দিয়ে সাহস জোগাতে বিলবোর্ডে এই লেখাগুলো যুক্ত করা হয়েছে।
হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমরা আশা করি না যে এখানে করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়ে কেউ চিকিৎসা নিতে আসুক। সবাই সুস্থ থাকুক, নিরাপদে থাকুক-সেটাই আমরা চাই। তারপরেও আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হচ্ছে। করোনার পরীক্ষা যত বেশি করা যাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা তত সহজ হবে। সে জন্য আমরা আরেকটি ল্যাব করছি।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের কাজটি করছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তারা যেন অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হন। সাধারণ মানুষকে বলব, আপনারা ঘরে থাকুন। সব ধরনের সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন। তাহলেই আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারব।

About digitalbanladesh2

চেক

ঋণখেলাপির নতুন নীতিমালা নিয়ে ব্যবসায়ীদের শঙ্কা, ব্যাংকের চাপ বাড়ছে

অর্থ-বানিজ্য ডেস্ক, ২৭মার্চ ২০২৫ইং (ডিজিটাল বাংলাদেশ রিপোর্ট): আগামী মাস থেকে দেশের ব্যাংকগুলোতে ঋণখেলাপির নতুন নীতিমালা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *