পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার বেড়ায় শাপলা (১৮) নামের এক নববধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
আজ রোববার (১০ মে) পৌর এলাকার ছোট পায়না মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় স্বামী শাহাদতকে বেড়া থানা পুলিশ আটক করেছে। অন্যারা পালাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতর পরিবার ও থানা সুত্রে জানা গেছে, বেড়া পৌর এলাকার ছোট পায়না মহল্লার আব্দুস ছাত্তার গায়েনের মেয়ে শাপলা খাতুন (১৮), একই মহল্লার হামেদ খাঁর ছেলে শাহাদত খাঁর (২২) সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়ে প্রায় তিন মাস আগে দুইজনে পালিয়ে বিয়ে করে।
পরে এলাকার প্রধানবর্গ বসে দুই পরিবারের মধ্যে আপোস মিমাংসা করে দেয়।
নিহতর বাবা আব্দুস ছাত্তার গায়েন জানান, বিযের পর থেকেই যৌতুক দাবী করে আমার মেয়ে শাপলাকে ওর স্বামী শাহাদতসহ শ্বশুর, শ্বাশুরী মারপিট করত।
এরই জের ধরে গত শনিবার (০৯ মে) রাতে মারপিট করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করছে তারা।
এ ঘটনায় নিহতর বাবা আব্দুস ছাত্তার গায়েন বাদি হয়ে বেড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে। পুলিশ আজ সকাল ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে আটক স্বামী শাহাদত জানান, প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার সেরে দুইজনে ঘুমিয়ে পরি। গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে শাপলাকে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস নিয়ে ঝুলতে দেখি। পরে চিৎকারে সাবাই এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে বেড়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিদ মাহমুদ খান জানান, স্বামী শাহাদতকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরন করেছে।
তদন্ত রিপোর্ট পেলেই আসল ঘটনা জানা যাবে।
