উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি : রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬১ জন। এর মধ্যে সুস্থ্যতা পেয়েছেন ৩৭ জন। করোনার সঙ্গে লড়ছেন এখনও ২২৪ জন। আর মারা গেছেন দুইজন। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিভাগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১২ এপ্রিল রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায়। এরপর এখন পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় মোট ২৬১ জন শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে রাজশাহীতে ১৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১৬, নওগাঁয় ৭০ নাটোরে ১৩ জন, জয়পুরহাটে ৭১, বগুড়ায় ৫২, সিরাজগঞ্জে ৬ ও পাবনায় ১৬ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ জানান, রাজশাহীতে করোনা আক্রান্ত ১৭ জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন তিনজন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৩ জন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আক্রান্ত ১৬ জনের মধ্যে এখনও কেউ সুস্থ হননি। সবাই হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নওগাঁয় আক্রান্ত ৭০ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১০ জন। করোনার সঙ্গে লড়ছেন ৬০ জন। নাটোরে আক্রান্ত ১৩ জনের মধ্যে মারা গেছেন একজন। চিকিৎসাধীন ১১ জন।
জয়পুরহাটে আক্রান্তের সংখ্যা ৭১ জন। এটিই বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্ত। তবে এ জেলায় সুস্থ হয়েছেন ১৫ জন। কেউ মারা যাননি। হাসপাতালে আছেন ৬৬ জন। মঙ্গলবার চার পুলিশসহ নতুন ১১ জন শনাক্তসহ বগুড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে আছেন ১৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।
সিরাজগঞ্জে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে কম ৬ জন। সবাই হোম আইসোলেশনে আছেন। এই জেলায় এখনও সুস্থ্য হননি কেউ, মারাও যাননি কেউ। আর পাবনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ জন। এর মধ্যে একজন মাত্র সুস্থ হয়েছেন।
এদিকে আইইডিসিআর থেকে আজকের তথ্য বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ঢাকায় শনাক্ত ও ঢাকায় চিকিৎসাধীন পাবনার এক বাসীন্দা আজ মারা গেছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক জানান, বিভাগে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২২২ জন। এর মধ্যে ৮৫ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি ১৩৭ জন হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হলেও উপসর্গ নেই। তারা ভালো আছেন। আর যারা কিছুটা অসুস্থ তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সার্বক্ষণিক তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে এখন প্রত্যেককে সর্বোচ্চ সর্তক থাকতে হবে। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। আর করোনার কোনো উপসর্গ থাকলে নমুনা পরীক্ষা করতে হবে।
