নিউজ ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতিতে দুঃস্থদের সহায়তায় ২৫০০ করে টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরই মাঝে ওই বরাদ্দের আওতায় সুবিধাভোগীদের নামের তালিকাও করা হয়েছে। কিন্তু কিছু তালিকায় ত্রুটি পাওয়া গেছে। শিগগিরই সেগুলো সংশোধন করে তালিকাভুক্তদের মোবাইলে নম্বরে ওই টাকা পাঠানো হবে, যাদের মোবাইল নম্বর নেই তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
ত্রুটি সংশোধন করে রোববারের (১৭ মে) মধ্যে নামের তালিকা পাঠাতে মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নামের তালিকায় একই ফোন নম্বর একাধিকবার ব্যবহার করায় প্রায় আট লাখ মানুষের নাম বাতিল হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
শনিবার (১৬ মে) রাতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল সাংবাদিকদের জানান, তালিকায় থাকা মোবাইল নম্বরে ১৫-১৬ শতাংশ ত্রুটি পাওয়া গেছে। ত্রুটি সংশোধন করে যাদের মোবাইল নম্বর নাই তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অনেকের তো মোবাইল নম্বর নাই। ফলে একই মোবাইল নম্বর অনেকবার দেওয়া হয়। তখন এনআইডির সাথে ম্যাচ করেনি। প্রত্যেকের এনআইডি ও মোবাইল নম্বরও ভেরিফিকেশন হচ্ছে। এরপর মেবাইল নম্বর বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা যাবে।
প্রধানমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার (১৪ মে) গণভবন থেকে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে করোনায় ভুক্তভোগী দুঃস্থ জনগোষ্ঠীকে সরাসরি নগদ অর্থ পাঠানোর এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এর আওতায় ঈদ পর্যন্ত সারাদেশে ৫০ লাখ পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদের সাহায্যে তৈরি অসহায় পরিবারের তালিকায় রিকশা ও ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্রমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষ রয়েছেন।
তবে এ কর্মসূচি উদ্বোধনের পরপরই দেশের বেশ কিছু এলাকায় একাধিক ব্যক্তির নামের বিপরীতে একই মোবাইল নম্বর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হবিগঞ্জে একই মেবাইল নম্বর ২০০ বার দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। এসব নিয়ে তুমুল সমালাচনা চলছে।