উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি, ৩ জুলাই : রাজশাহী বিভাগে আট জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৭৫ জনের নমুনায় করোনা পাওয়া গেছে। এছাড়া সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ১০৭ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী। আর মারা গেছেন দুইজন।
এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৭৩ জন। মারা গেছে ৮৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৭৯ জন। শুক্রবার দুপুরে এক প্রতিবেদনে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তারের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তের মধ্যে রাজশাহীর ১২৫ জন, নওগাঁর ৮৮ নাটোরের ২৯ জন, জয়পুরহাটের ৪৮ জন, বগুড়ার ১৪৭ জন, সিরাজগঞ্জের ৩৭ জন ও পাবনার ১ জন। তবে বিভাগের অপর জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগি শনাক্ত হয়নি বলে তিনি জানান।
ডা. গোপেন্দ্র আরও জানান, রাজশাহী বিভাগে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৩৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ৩ হাজার ১৯৯ জন আক্রান্ত। এছাড়াও মহানগরীতে ৬৫০ জনসহ রাজশাহী জেলায় ৯১০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০১ জন, নওগাঁয় ৫৪০ জন, নাটোরে ২১৫ জন, জয়পুরহাটে ৪২৯ জন, সিরাজগঞ্জে ৫৩১ জন ও পাবনায় ৪৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয় জেলায় মৃতের সংখ্যা ৮৭ জন। এর মধ্যে রাজশাহীতে নয়জন, নওগাঁয় সাতজন, নাটোরে একজন, বগুড়ায় ৫৪ জন, সিরাজগঞ্জে আটজন ও পাবনায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। সরকারি হিসেবে এখনো জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোন করোনা আক্রান্ত রোগি মারা যায়নি।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ১০৭ জন। এ নিয়ে বিভাগে সুস্থ্য হয়েছেন ১ হাজার ৭৭৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগি। এর মধ্যে রাজশাহীর ১৪৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬১ জন, নওগাঁয় ৩০৫ জন, নাটোরে ৬৬ জন, জয়পুরহাট ১৫১ জন, বগুড়ায় ৮৪৫ জন, সিরাজগঞ্জ ৬৫ জন ও পাবনায় ১৪১ জন।
ডা. গোপেন্দ্র নাথ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়াও সামাজিক দুরত্ব রাখাসহ মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। তবেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।