এস,এম,আজিজুল হক : বছর ঘুরে বিজয় দিবস আসে, আসবে অনন্তকাল ধরে। বিজয় দিবস উৎসবে উৎসবে আরো ভরে যাবে, রঙিন থেকে রঙিনতর হবে। মানুষ ভুলে যাবে একাত্তরের পাক বাহিনী ও তাদের এদেশীয় সহচর রাজাকার আল বদরদের নির্মমতার কথা। উৎসবের রঙিন ঝলকানীতে ম্লান হয়ে যাবে সজন হারানো স্বজনদের অব্যক্ত বেদনার ইতিকথা।
রনাঙ্গনের শহীদদের নামে স্থাপনার নামকরণের মাধ্যমে দায় মুক্তির চেষ্টার নাটক করবে সরকার। শহীদদের আত্মত্যাগের অনুশীলনবিহীন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রতিষ্ঠান দিনে দিনে ভরে উঠবে ভূয়া ও আত্মগোপনকারী রাজাকার আলবদরের দৃপ্তপদচারণায়।
আমার বন্ধুবর শহীদ আব্দুল খালেকের কথা বলতে চেয়ে অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথাই লিখে ফেললাম। জ্বি, আমি পাবনার বেড়ার শহীদ আব্দুল খালেকের কথাই বলছি। টগবগে তরুণ সদাহাস্যজ্জল লাগামহীন বলগাহীন স্থানীয় ক্রীড়াঙ্গণের সম্ভাবনাময় এক উজ্জল নক্ষত্রের অকাল বিদায় আমাদের প্রজন্ম হয়তো কোনদিন ভুলতে পারবে না। কিন্তু আজকের প্রজন্ম তার আত্মত্যাগ পুষ্পার্ঘের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে। দিবস ভিত্তিক স্মরণানুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ না করে এই সব অকুতভয় আত্মদানকারী শহীদদের আত্মত্যাগের অনুশীলন করা হোক প্রতি দিনে প্রতি ক্ষণে। শহীদ আব্দুল খালেকের নামে যদিও বেড়ায় একটি নামকা ওয়াস্তে একটি স্টেডিয়াম করা হয়েছে, তাকে স্টেডিয়াম বলা যায় কি? আজকের মহান এই বিজয় দিবসে আমাদের প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল বাংলাদেশ টুয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে জোর দাবী জানাচ্ছি-স্টেডিয়ামটির আধুনিকায়ন করে স্টেডিয়ামের প্রবেশ পথে শহীদ আব্দুল খালেকের একটি ছবি (স্টোন রেপলিকা) স্থাপন করা হোক। শহীদ আব্দুল খালেকের স্মৃতি বিজরিত বেড়া বি বি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিবছর খালেক মেলা ও খালেক স্পোর্টস উইকের আয়োজন করা হোক।
