উৎরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি, ২০ জানুয়ারি : ধর্ষিতাকে আদালত চত্বরে বিয়ে করে জামিন পেলেন রাজশাহীর এক চিকিৎসক। রাজশাহী আদালত চত্তরে আজ (২০ জানুয়ারি) ওই বিয়েটি সম্পন্ন হয়।
১৭ মাস ধরে একজন নারী আইনজীবীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে হাজত বাস করা ওই চিকিৎসককে শেষে জামিন দেওয়া হয়। জামিন প্রাপ্ত ওই চিকিৎসকের নাম সাখাওয়াত হোসেন রানা (৪০)। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ। ডা. রানার আগের সংসারে স্ত্রী-সন্তান রয়েছে।
দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিয়ে করতে তাকে ৫০ লাখ টাকা দেনেমোহর দিতে হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ লাখ টাকা নগদে এবং বাঁকি রাখা হয়েছে আরও ২৫ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়। আর চিকিৎসক রানার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর পোরশা উপজেলায়।
রাজশাহী মহানগরীর টিকাপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন চিকিৎসক রানা। ওই নারী আইনজীবী মহানগরীর কোর্ট এলাকার ভাড়া থাকেন। তিনি রাজশাহী জেলা জজ আদালতের শিক্ষানবিস আইনজীবী। ওই নারী অভিযোগ, প্রায় দেড় বছর আগে ডা. রানার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কিছু দিনের মধ্যেই ডা. রানা তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর একদিন কৌশলে তাকে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখেন।
তারপর সেই ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ১৭ মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ গত ২৫ জুলাই দুপুরে ডা. রানা ওই নারীর ভাড়া বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। এ সময় ওই নারীর বান্ধবী পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দেন। এছাড়া তিনি আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান।
তখন এলাকাবাসী ওই চিকিৎসককে আটকে রাখেন। পরে রাজপাড়া থানা পুলিশ গিয়ে কিছু ভিডিও চিত্র উদ্ধার করে। এরপর ওই নারী আইনজীবী বাদী হয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলা করেন।
এই মামলার আসামি আজকে ওই নারীকে বিবাহের শর্তে আদালত থেকে জামিন পান। রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১ এর বিচারক মনসুর আলী তাকে জামিন দেন।
