উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি, ২৯ জানুয়ারি : রাজশাহী বিভাগের আট জেলার জন্য পৌছেছে করোনা টিকা।
বিভাগের আট জেলায় প্রথম ধাপে টিকা পাবেন ৭ লাখ ২০ হাজার মানুষ। এই টিকা প্রয়োগের জন্য জেলায় জেলায় কেন্দ্র ও বুধ প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও টিকা প্রয়োগের পর পার্শপ্রতিক্রিয়া হলে করণীয় মাথায় রেখে যথাযথ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে ইতোমধ্যে।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভাগের আট জেলায় একযোগে টিকা প্রয়োগ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার।
তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে রাজশাহী বিভাগের আট জেলার জন্য ৭ লাখ ২০ হাজার ডোজ টিকা বরাদ্দ হয়েছে। আজ শুক্রবার সব জেলায় টিকা পৌঁছে গেছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অধিনস্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জেলা ইপিআই ষ্টোরে রাখা হয়েছে ওই টিকা।
ডা. হাবিবুল বলেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বিভাগের আট জেলায় এক সঙ্গে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম চালুর প্রস্তুতি চলছে। তবে সব কেন্দ্র এক সঙ্গে চালু করা হবে না। প্রথম পর্যায়ে জেলা শহরে ও দ্বিতীয় পর্যায়ে উপজেলায় দেয়া হবে।
তিনি বলেন, যারা টিকা গ্রহন করবেন তাদের তালিকা করা হয়েছে। এছাড়াও যারা টিকা প্রয়োগ করবেন ও তাদের সঙ্গে যেসব স্বেচ্ছাসেবী থাকবেন তাদেরও তালিকা হয়েছে। টিকা প্রদানকারী স্বাস্থ্য কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের এক দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে চারটি বুথে টিকা দেয়া হবে। প্রতিটি বুথে দুইজন স্বাস্থ্য কর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবী থাকবে।
ডা. হাবিবুল আহসান বলেন, প্রথম ধাপে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এর পর সাংবাদিক, পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও ষার্টোধ্ব ব্যক্তিদের শরীরে টিকা দেয়া হবে। সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে টিকা প্রয়োগের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিকে তার কেন্দ্রের নাম, বুথ, ক্রমিক, তারিখ এবং সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে, রাজশাহীর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৯ কাটুন ভ্যাকসিন। এর মধ্যে জেলার জন্য ১৫ কাটুন ও সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য চার কাটুন। প্রতিটি কার্টুনে ১২০০ ভায়াল থাকবে। একটি ভায়ালে ১০ জনকে টিকা দেয়া হবে। সে হিসেবে রাজশাহীতে প্রথম ধাপে ২ লাখ ২৮ জনকে টিকা দেয়া হবে বলে জানান, রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাউয়ুম তালুকদার।
তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে রাজশাহীতে ১৯ কাটুন ভ্যাকসিন এসে পৌঁছেছে। সেগুলো জেলা ইপিআই ষ্টোরে রাখা হয়েছে।
ডা. কাউয়ুম বলেন, রাজশাহী নগরে চারটি কেন্দ্রে ১৬টি বুথে টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হলো, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিটি করপোরেশনের নগর ভবন, রাজশাহী পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল ও রাজশাহী সেনানিবাস হাসপাতাল।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, এ হাসপাতালে টিকা প্রায়োগের জন্য একটি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। চারটি বুথে টিকা দেয়া হবে। এখানে প্রথমে চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্য কর্মীদের টিকা প্রয়োগ করা হবে। তাদের তালিকা তৈরী করা হয়েছে।
তিনি বলেন, টিকা প্রয়োগের পর যদি পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাদের চিকিৎসার জন্য রাজশাহী সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের চিকিৎসার জন্য রাজশাহীর মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আশা করছি কোন সমস্যা ছাড়াই আমরা এই টিকা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবো।