পাবনা প্রতিনিধি, ৬ এপ্রিল : যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহরের উপকণ্ঠে একটি বাড়ি থেকে বাংলাদেশের পাবনা জেলার এক পরিবারের ছয় সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় সোমবার তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পাবনা শহরের দোহারপাড়ায় নিহতদের স্বজনদের মধ্যে শোকের মাতম চলছে।
সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পুলিশের ধারণা, দুই ভাই পরিবারের চার সদস্যকে হ’ত্যার পর নিজেরা আ’ত্মহ’ত্যা করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃতদের মধ্যে দুই ভাই, এক বোন, তাঁদের মা-বাবা ও নানি রয়েছেন। তারা হলেন ১৯ বছর বয়সী যমজ ভাই-বোন ফারহান তৌহিদ ও ফারবিন তৌহিদ, বড় ভাই তানভীর তৌহিদ (২১), মা আইরিন ইসলাম (৫৬), বাবা তৌহিদুল ইসলাম (৫৪) ও নানি আলতাফুন্নেসা (৭৭)।
এদিকে, নিহত আইরিনের ভাতিজা তাওসিফ হোসেন জানান, তারা পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, তৌহিদুল ইসলামের দুই ছেলে নিজেরা ঠিক করেছিলেন তাঁরা আত্মহত্যা করবেন এবং সেই সঙ্গে পুরো পরিবারকে হত্যা করবেন। সে অনুযায়ী তাঁরা হত্যাযজ্ঞ করে থাকতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি পোস্টও করছিলেন ১৯ বছর বয়সী ছোট ছেলে। সেখানে তিনি নিজেকে হতাশাগ্রস্ত বলে উল্লেখ করেছেন।
তবে, ওই পরিবারের ঘনিষ্ঠজন ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দুই ভাইয়ের হতাশাগ্রস্তের কথা তাঁরা জানতেন না। দুই ভাই ছিলেন খুবই সপ্রতিভ, পড়াশোনায়ও ভালো ছিলেন। তাঁদের বাবা তৌহিদুল দুই ছেলেকে নিয়ে সবসময় গর্ব করতেন।
জানা গেছে, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে টেক্সাসের ডালাসে বসবাস করতেন বাংলাদেশি দম্পতি তৌহিদুল ইসলাম ও আইরিন ইসলাম। আইরিন ইসলামের মা আলতাফুন্নেসা বাংলাদেশের পাবনা থেকে মেয়ের কাছে থাকার জন্য গিয়েছিলেন। দেশে ফেরার কথা থাকলেও, করোনার কারণে আটকা পড়েছিলেন তিনি।
নিউইয়র্কে বসবাসকারী কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট ও পাবনার বাসিন্দা গোপাল সান্যাল বলেন, ‘মর্মান্তিক ঘটনাটির শিকার পরিবারটির বাড়ি পাবনার দোহারপাড়ায়। তাঁরা বিখ্যাত হায়দার পরিবারের সদস্য। দোহারপাড়ার বিখ্যাত ব্যক্তি জিয়া হায়দার, রশিদ হায়দার ওনাদের আত্মীয়। এ ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।’