ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ২০ ডিসেম্বের২০২৪ইং (ডিজিটাল বাংলাদেশ রিপোর্ট): বাশার আল আসাদের পতনের পর বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের নিয়ন্ত্রিত সরকার সিরিয়ায় কার্যক্রম চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে সেই সরকার অভ্যুত্থানকারীদের ইচ্ছেমতো সংস্কার শুরু করেছে। সংস্কারের অন্যতম খাত হিসেবে প্রাধান্য পাচ্ছে স্বৈরশাসকের রেখে যাওয়া শিক্ষাব্যবস্থা।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে সিরিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা থেকে প্রাক্তন ক্ষমতাসীন বাথ পার্টির সব নিয়মকানুন মুছে ফেলবে। তবে স্কুল পাঠ্যক্রম আপাতত পরিবর্তন করবে না। বিশেষ করে মেয়েদের শেখার অধিকার সীমাবদ্ধ করবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির নতুন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী নাজির মোহাম্মদ আল কাদরি দামেস্কে তার অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষা সিরিয়ার জনগণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা খাদ্য ও পানির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার অধিকার একটি নির্দিষ্ট লিঙ্গের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের স্কুলে ছেলেদের চেয়ে বেশি মেয়ে থাকতে পারে।
গেল ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের টানা ১২ দিনের আকস্মিক অভিযানে দেশ ছেড়ে পালান দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে স্বৈরশাসন চালানো বাশার আল আসাদ। তারপরই ভেঙে পড়ে সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর কমান্ড।
নারী শিক্ষায় বাধা দেবে না সিরিয়ার নতুন সরকার
নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর তালিকা থেকে তালেবানের নাম সরাচ্ছে রাশিয়া
আসাদ দেশ ছাড়ার পর ক্ষমতার দখল যায় হায়াত আল তাহরির আল শাম তথা এইচটিএস নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে। এ গোষ্ঠীটির ইচ্ছাতেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে এবং তাদের ইশারাতেই বর্তমানে সিরিয়ার নীতি-নির্ধারিত হচ্ছে।
এদিকে ক্ষমতার পালাবদলের পর বিভিন্ন স্থানে আসাদ বাহিনীর সেনাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় এইচটিএস। সেই ঘোষণা মোতাবেক সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ টারতুসের আসাদের রাজনৈতিক দল বাথ পার্টির আঞ্চলিক সদরদপ্তরে অস্ত্র জমা দিতে আসেন সাবেক সেনা সদস্যরা। সেখানে অস্ত্র জমা নেওয়ার কাজ করছে স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আহরার আল শাম। এর আগে, আসাদ বাহিনীর সেনাসদস্য ও আসাদ সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর যোদ্ধাদের তুরতুসে বাথ পার্টির কার্যালয়ে নিজেদের অস্ত্র জমা দয়ার নির্দেশনা দেয় গোষ্ঠীটি।
সিরিয়ান সেনাবাহিনী একজন কর্মকর্তা, সাবেক মেজর আলি হাবাবা গণমাধ্যমকে বলেন, বিদ্রোহীরা যখন ক্ষমতা দখল করতে আসে তখন আমি দারা শহরে দায়িত্বরত ছিলাম। তারা কোনো প্রকার রক্তপাত ছাড়াই আমাদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়। আমরাও কোনো লড়াই না করে সেনা প্রত্যাহার করি। এখন এখানে এসেছি বিষয়গুলো মীমাংসা করতে, আমরা আশা করি দেশের জন্য এটি একটি ভালো পদক্ষেপ হবে।