ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ ডিসেম্বের ২০২৪ইং (ডিজিটাল বাংলাদেশ রিপোর্ট): ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে বন্ধ হয়ে গেছে ফিলিস্তিনের উত্তর গাজার সর্বশেষ বড় স্বাস্থ্য স্থাপনা কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কার্যক্রম। হাসপাতালটি থেকে জোরপূর্বক সবাইকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় হাসপাতালটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে।
শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়াসহ হাসপাতালটির কয়েক ডজন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে গেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ‘সকালে চালানো অভিযানে উত্তর গাজার সর্বশেষ বড় স্বাস্থ্য স্থাপনা কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। প্রাথমিক খবরে এ অভিযানে হাসপাতালের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে এবং ধ্বংস হয়ে গেছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।’
কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব ও জর্ডান। দেশ দুটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এ ধরনের অভিযান আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া এলাকার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অভিযান চালানোর কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তাদের দাবি, হাসপাতালটির হামাসের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ‘সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। টেলিগ্রামে সংগঠনটি বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু পশ্চিমা দেশের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করছে দখলদার ইসরায়েলি সরকার। এসব দেশ চলমান এই গণহত্যার অংশীদার।’