ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ০৪ জানুয়ারি২০২৫ইং (ডিজিটাল বাংলাদেশ রিপোর্ট): মানুষকে ঠকানোর অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে হোয়াটসঅ্যাপে সবচেয়ে বেশি সাইবার প্রতারণা হয়।
টেলি-যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি ও সস্তায় ডেটা ব্যবহারের দৌলতে ভারতে বিপুল জনপ্রিয় হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এর মধ্যে সবার আগে রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ক্রমশ জনপ্রিয়তা বাড়ছে টেলিগ্রাম, ইনস্টাগ্রামেরও। এর সুযোগে বাড়ছে প্রতারণাও।
মোবাইলকে ব্যবহার করে অনলাইনে প্রতারণা দেশটিতে এখন নিত্যনৈমিত্তিক অভিযোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত প্রবীণ মানুষদের টার্গেট করছে প্রতারকরা। তবে কমবয়সীরাও এর থাবা থেকে বাঁচছে না। সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০২৩-২৪ সালে বারতে সাইবার অপরাধ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখান থেকেই উঠে আসছে সাইবার অপরাধের নানান ফন্দিফিকির ও ভারতে কীভাবে তারা কাজ করে সেই ছবি।
কীভাবে প্রতারণা
এই পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে প্রতারকদের বেশি পছন্দের হোয়াটসঅ্যাপ। এর ব্যবহারকারী সংখ্যা বেশি। এই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা সহজ হওয়ায় খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এর সাহায্যে নানা ভাবে মানুষকে ঠকাচ্ছে প্রতারকরা। এর অন্যতম ডিজিটাল অ্যারেস্ট। এ বিষয়ে কিছুদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও জনতাকে সতর্ক করেছিলেন।
কখনো বিপুল টাকার মুনাফা টোপ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কখনো বিভিন্ন সংস্থার নাম করে লোভনীয় উপহারের বিনিময়ে টাকা হাতাচ্ছে প্রতারকরা। কখনো আবার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মানুষকে ঠকাচ্ছে অনলাইন প্রতারকেরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ধরনের জালিয়াতির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে পিগ বুচারিং স্ক্যাম। সাধারণভাবে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে লিংক পাঠানো হয়। সেই লিংকে ক্লিক করলে কী সুবিধা মিলবে, তার বর্ণনা আগেই দেওয়া হয়। প্রথমে গ্রাহককে হাত করার জন্য টাকা ফেরত দেয়া হয়। তারপর অনেক বেশি টাকা হাতিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। কোনোভাবেই তাদের নাগাল পান না প্রতারিত ব্যক্তি।
এছাড়া ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি বিভিন্ন সফটওয়্যার-এর মাধ্যমে তৈরি করে আপলোড করে দেয়ার ভয় দেখায় অনলাইন দুর্বৃত্তরা। সম্মান ও মর্যাদাহানির ভয়ে কার্যত প্রতারকদের হাতে পণবন্দি হয়ে পড়েন অনেকে। তাদের কাছ থেকে দফায় দফায় বিপুল টাকা আদায় করে প্রতারকেরা।