**প্রতিনিধি: মোহাম্মদ নাসিম ইসলাম | ডিজিটাল বাংলাদেশ**
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এ চরম অচলাবস্থা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। ফলে বিএসইসিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশ সংস্থার দ্বিতীয় তলায় মাল্টিপারপাস হলে জড়ো হয়েছেন, যেখানে নিজেদের মধ্যে পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা চলছে। অপরদিকে, নির্বাহী পরিচালকদের অংশগ্রহণে ষষ্ঠ তলায় আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এবং তিন কমিশনার আজ অফিসে আসেননি, যার ফলে পঞ্চম তলার কমিশন কার্যালয় প্রায় ফাঁকা পড়ে আছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের নামফলকগুলো ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
গতকাল বুধবার বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং প্রতিবাদ শুরু করেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, প্রায় চার ঘণ্টা বিএসইসির চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনার কার্যালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ ছিলেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সেনা সদস্যদের হস্তক্ষেপে তাদের উদ্ধার করা হয়।
অস্থিরতার মধ্যেই আজ সকালে ৮ থেকে ১০ জন বিনিয়োগকারী বিএসইসির প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে সংস্থার চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান আবু আহমেদেরও পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে বিএসইসির অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী কার্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো কাজ করছেন না। ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয়, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চলমান সংকট কিভাবে সমাধান করা হয় এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কতটা কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।