প্রতিনিধি: মোহাম্মদ নাসিম ইসলাম | ডিজিটাল বাংলাদেশ
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে দিল্লির নীতি আগের মতোই রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (৭ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনাকে বিচারের জন্য ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করেছে এবং ভারত সেই অনুরোধ পেয়েছে। বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে, তবে এখনই এ নিয়ে নতুন কিছু বলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে দিল্লির দৃষ্টিভঙ্গি
ব্রিফিংয়ে ভারতের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে মুখপাত্র বলেন, তারা চায় বাংলাদেশ একটি **স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে এগিয়ে যাক**। গণতান্ত্রিক উপায়ে সব সমস্যার সমাধান হওয়াই তাদের প্রত্যাশা।
এছাড়া, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান সহিংসতার ঘটনায় ভারত উদ্বিগ্ন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, **২০২৩ সালের ৬ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের ওপর ২৩৭৪টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে মাত্র ১২৫৪টি মামলা পুলিশের তদন্তে এসেছে। তবে এসব ঘটনার ৯৮ শতাংশকে রাজনৈতিক সহিংসতা হিসেবে চিহ্নিত করে খারিজ করা হয়েছে।**
একই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা বহুবার বলেছি, বাংলাদেশ যেন স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক থাকে। আজও আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত।”
এই বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই বলেও মন্তব্য করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎবিশ্লেষকদের মতে, দিল্লি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। ভারত চায়, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত থাকুক এবং প্রতিবেশী দেশ হিসেবে স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক। তবে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন প্রশ্নে ভারত কৌশলগতভাবে এখনো প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে যাচ্ছে।
এখন দেখার বিষয়, এই কূটনৈতিক আলোচনার পরবর্তী ধাপ কী হয় এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কোন পথে এগোয়।