খেলা ডেস্ক09 মার্চ 2025ইং (ডিজিটাল বাংলাদেশ রিপোর্ট):দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল নিউজিল্যান্ড। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ৫ ওভারে বিনা উইকেটে তুলে ফেলে ৩৭ রান। প্রথম ১০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ছিল মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান। কিন্তু এরপরই ছন্দপতন। ভারতের স্পিন আক্রমণের সামনে পথ হারিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করে ৭ উইকেটে ২৫১ রান।
প্রথম দিকের দারুণ ব্যাটিংয়ের পরও কেন এই খারাপ অবস্থা? মূল কারণ ছিল ভারতের চার স্পিনারের টানা ৩৩ ওভারের দাপট। শুরুতে পেসারদের ভালো সামলালেও বরুণ চক্রবর্তী আক্রমণে আসার পরই খেই হারায় নিউজিল্যান্ড। রহস্যময় এই স্পিনার নিজের দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম ধাক্কাটা দেন। এরপর কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেলের ঘূর্ণিতে ধীরে ধীরে রান তোলার গতি কমে যায় কিউইদের।
১১তম ওভার থেকে ৪৩তম ওভার পর্যন্ত ভারতীয় স্পিনারদের সামনে হিমশিম খেয়েছে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ৩৩ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারালেও রান উঠেছে মাত্র ১১৫। এই সময় প্রতি ওভারে রান এসেছে মাত্র ৩.৪৮ করে, যেখানে প্রথম ১০ ওভারে কিউইরা গড়ে ৬.৯০ রান তুলেছিল। স্পিনাররা পুরো ৩৮ ওভার বল করে মাত্র ১৪৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। অন্যদিকে পেসাররা ১২ ওভার বল করে দিয়েছেন ১০৪ রান।
শেষ দিকে অবশ্য কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে নিউজিল্যান্ড। শেষ ৫ ওভারে এসেছে ৫০ রান। কিন্তু দলের সবচেয়ে বড় তারকা কেইন উইলিয়ামসন ১৪ বলে মাত্র ১১ রান করায় ব্যাটিংয়ে বড় প্রভাব পড়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল, ১০১ বল খেলে মাত্র ৩টি চার মেরেছেন তিনি।
ভারতের চার স্পিনারের সম্মিলিত বোলিং আক্রমণের বিপরীতে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ের শুরু আর শেষ একরকম মিলিয়ে নিতে পারেনি। শেষ দিকে রান তোলার গতি কিছুটা বাড়লেও তা পর্যাপ্ত হয়নি। এখন দেখার বিষয়, ২৫২ রানের লক্ষ্য ভারতের ব্যাটসম্যানরা কতটা সহজে তাড়া করতে পারে।