খেলা ডেস্ক, 19মার্চ 2025ইং (ডিজিটাল বাংলাদেশ রিপোর্ট):ফুটবল মাঠে শৃঙ্খলা ও মানসিক দৃঢ়তার পরীক্ষা প্রতিদিনই দিতে হয়। আর যখন কোনো খেলোয়াড় ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে এই শৃঙ্খলাকে মিশিয়ে ফেলেন, তখন তা কেবল ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, একটি দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে। লামিনে ইয়ামাল সেটাই করে দেখাচ্ছেন। বার্সেলোনার তরুণ এই তারকা ক্লাবের পর এবার স্পেন জাতীয় দলের হয়েও রোজা রেখে মাঠে নামতে চলেছেন।
এই তো কদিন আগের কথা। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে বেনফিকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন ইয়ামাল। তখনও রোজা রেখেছিলেন। খেলা চলাকালীন ইফতারের সময় হলে পানি পান করে রোজা ভাঙেন, এরপর নিজের সেরা পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচে গোল করেন, সতীর্থকে দিয়েও গোল করান। সে ম্যাচের ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, প্রশংসায় ভাসেন ইয়ামাল।
এবার তিনি স্পেন জাতীয় দলেও রোজা রেখে খেলতে যাচ্ছেন। উয়েফা নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামবে স্পেন, সেই ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইয়ামাল।
তবে এই প্রথমবার তিনি রোজা রেখে খেলছেন তা নয়। নিজেই জানিয়েছেন, আগেও ক্লাব ফুটবলে তিনি রোজা রেখেই খেলেছেন। শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুতি নেন। প্রতিদিন ফজরের সময় উঠে নামাজ আদায় করেন, এরপর ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় পান করে সারাদিনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন। ইফতারের সময়ও প্রচুর পানি পান করেন, চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলেন—সবকিছুই করেন যাতে মাঠে পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব না পড়ে।
ইয়ামালের জন্ম স্পেনে হলেও তাঁর বাবা মরক্কান মুসলিম। পারিবারিক ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে এবার রোজা রেখে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এর আগে স্পেন দলে মুসলিম ফুটবলার ছিলেন, তবে রোজা রেখে খেলার নজির খুব বেশি নেই।
ফুটবলের মতো demanding খেলায় রোজা রাখা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ফুটবলে যেখানে ম্যাচ ও অনুশীলনের চাপ অনেক বেশি। কিন্তু ইয়ামাল দেখিয়ে দিচ্ছেন, সঠিক পরিকল্পনা থাকলে ধর্মীয় অনুশীলনের সঙ্গে পেশাদার ফুটবলকে মিলিয়ে নেওয়া সম্ভব। তাঁর এই সিদ্ধান্ত হয়তো ভবিষ্যতে আরও অনেক মুসলিম খেলোয়াড়কে অনুপ্রাণিত করবে।