ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ২৮ ডিসেম্বের ২০২৪ইং (ডিজিটাল বাংলাদেশ রিপোর্ট): ২৫ ডিসেম্বর গাজার বেইত লাহিয়ায় কামাল আদওয়ান হাসপাতালের আঙিনায় এবং এর আশপাশের ভবনগুলোতে ইসরায়েলি হামলার পরে ফিলিস্তিনিরা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে হাঁটছে। উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে একটি ভবনে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচজন চিকিৎসা কর্মীসহ প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছে, হাসপাতালের পরিচালক এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
ডা. হুসাম আবু সাফিয়া জানান, গতকাল সকাল থেকে কামাল আদওয়ান হাসপাতাল তীব্র আর্টিলারি শেলিং এবং এফ১৬ বিমান হামলার মধ্যে রয়েছে।
শুধু তাই নয়, কোয়াডকপ্টারের আঘাতে একজন মহিলা নিহত হয়েছেন এবং কোয়াডকপ্টার থেকে ছিটকে পড়া গ্রেনেডে নিহত হয়েছেন আরও একজন।
তিনি বলেন, “উত্তরাঞ্চলের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা ৮০ দিনের বেশি খাবার, জল, চিকিৎসা সরবরাহ এবং সাহায্য ছাড়াই পার করার কথা কলছি।”
তবে, পরিস্থিতি কেবল উত্তর গাজা উপত্যকায়ই নয়, গাজা উপত্যকার দক্ষিণে এবং কেন্দ্রীয় অঞ্চলেও ধস নামছে। গত চার দিনে তাঁবুতে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে চার ফিলিস্তিনি শিশু মারা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছ থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যে এটা জানা গেছে। তিনি বলেন, “এই ফিলিস্তিনি শিশুদের বেশিরভাগই ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে মারা গেছে।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরাইল গাজা শহরের একটি বাড়িতে রাতভর হামলা চালিয়ে অন্তত নয়জন নিহত হয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৪৫ হাজার ৩৯৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ সাত হাজার ৯৪০ জন আহত হয়েছে। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় ইসরায়েলে কমপক্ষে ১১৩৯ জন নিহত হয়েছিল এবং ২০০ জনেরও বেশি বন্দি করা হয়েছিল।