ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ০৬ মার্চ ২০২৫ইং (ডিজিটাল বাংলাদেশ রিপোর্ট): মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। রাজধানী সানায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে, যেখানে ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লোহিত সাগরে তাদের ও মিত্রদের বাণিজ্যিক জাহাজে একাধিক হামলার জবাব দিতে তারা এই সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, হুতিরা যদি তাদের কার্যকলাপ বন্ধ না করে, তাহলে আরও বড় ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইয়েমেনের সাদা শহরেও হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে নিহতের সংখ্যা ছয় থেকে দশজন হতে পারে। হুতিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংবাদমাধ্যম আল মাসিরাহ টেলিভিশন দাবি করেছে, হামলায় আরও অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে। তবে হুতি-নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ১৫ এবং আহতের সংখ্যা ৯।
ইরান-সমর্থিত হুতিরা ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে লোহিত সাগরে একাধিক বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলি হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এসব আক্রমণ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এটিকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপর বড় হুমকি হিসেবে দেখছে।
হামলার পর হুতিরা পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, এই আগ্রাসনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দায়ী। যদিও যুক্তরাজ্য সরাসরি হামলায় অংশ নেয়নি, তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে জ্বালানি ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্বজুড়ে এ ঘটনায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিশেষ করে, যদি হুতিরা পাল্টা প্রতিশোধ নেয়, তাহলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। মার্কিন প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং মিত্রদের রক্ষা করতে তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে।