গত ৫ দিনের টানা অবিরাম বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকা ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারনে আবারো সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর,কাজির পয়েন্ট,নতুনপাড়া,তেঘরিয়া,আরপিন নগর,নবীনগর,কালিপুরসহ বিভিন্ন পাড়ার নিম্নাঞ্ঝল প্লাবিত হয়ে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে অনেকেই পানিবন্দি হয়ে হয়ে পড়েছেন। এদিকে তাহিরপুর সড়কের ২ কিলোমিটার সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে সুনামগঞ্জ তাহিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে। জেলার সুরমা,যাদুকাটা,বৌলাই,রক্তি,কুশিয়ারাসহ সকল নদীর পানি ক্রমশ বাড়ছে। বৃষ্টিপাত অব্যহত থাকায় এখনো বাড়ছে সুরমা নদীর পানি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত শহরের ঘোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং গত ২৪ ঘন্টায় ২৩০ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডেও কর্মকতার্রা।
এদিকে অব্যাহত পাহাড়ি ঢলের কারণে সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের আনোয়ারপুর ও শক্তিয়ারখলাসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় জেলা সদরের সঙ্গে তাহিরপুরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী হাজারো জনসাধারণ। এদিকে বাসাবাািড়তে পানি ঢুকে যাওয়ার কারণে নিম্নআয়ের মানুষজন পড়েছেন চরম বিপাকে। তারা কাজের সন্ধানে বাহিওে যেতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহাওে অধার্হাওে দিন কাটাচ্ছেন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমীর বিশ্বাস বলেন, উপজেলার বিশ্বম্ভরপুর শক্তিয়ারখলা সড়কের দুইশো মিটার এলাকায় দিয়ে ঢলের পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সীমান্তের ওপাড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার কারণে সুরমা নদীর পানি বাড়ছে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো আব্দুল আহাদ জানান, জেলা সদর, বিশ্বম্ভরপুর,দোয়ারাবাজার,তাহিরপুর উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়েছে এবং প্রশাসনের তরফ থেকে প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে পানি বাড়া অব্যাহত থাকলে বণ্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে এবং প্রশাসনের কাছে সরকারের নির্দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রানসামগ্রী সজুদ রয়েছে বলে ও তিনি জানান।
