পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুনামগঞ্জের সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া জেলার ২১৮টি বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ২২টি, দোয়ারাবাজার উপজেলার ১৮টি, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ২৭টি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার তিনটি, ছাতক উপজেলার ১০টি, জামালগঞ্জ উপজেলার ৩০টি, তাহিরপুর
উপজেলার ১৯টি ও ধর্মপাশা উপজেলার ৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
এদিকে, একই কারণে জেলার মাধ্যমকি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ মোট ৫০টি প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। এরমধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় নয়টি, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ১৭টি,
জামালগঞ্জ উপজেলায় চারটি, ধর্মপাশা উপজেলায় দুইটি, দোয়ারাবাজার উপজেলায়া ১০টি এবং তাহিরপুর উপজেলায়া আটটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম।
এছাড়া সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার উপজেলায় প্রায় দেড় শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় খাবার পানি ও খাদ্য সংকট
দেখা দিয়েছে। স্থানীয়ভাবে দুর্গত মানুষদের সাহায্য করা হচ্ছে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ গণমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় প্রশাসনের সব প্রস্তুতি রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় তিন লাখ টাকা, ২০০ মেট্রিক টন চাল এবং তিন হাজার ৮০০ প্যাকেট শুকনা খাবার মজুত রয়েছে।