বাংলাদেশ রেলওয়েতে যুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন ট্রেন বেনাপোল এক্সপ্রেস। রাজধানীর কমলাপুর থেকে যশোরের বেনাপোল রুটে বুধবার (১৭ জুলাই) থেকে চলবে এ ট্রেন। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পালা।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংযুক্ত হতে ইতোমধ্যে যশোর পৌঁছেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্বোধনী দিন দুপুর ১টায় ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এ ট্রেনে বগি থাকবে ১২টি। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও পরিবেশবান্ধব এ ট্রেনে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রশস্ত দরজা ও বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। এটি অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রথম ট্রেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ৮৯৬ আসনের এ ট্রেন প্রতিদিন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে ঢাকা বিমানবন্দর, ঈশ্বরদী জংশন, যশোরে যাত্রী ওঠানো-নামানোর জন্য সাময়িক বিরতি দিয়ে শেষ গন্তব্যে গিয়ে থামবে বেনাপোল স্টেশনে। বেনাপোল এক্সপ্রেস নন এসি শোভন ৪৮৫ টাকা, এসি চেয়ার ৯৩২ টাকা, এসি কেবিন ১ হাজার ৬৭৪ টাকা। প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে। আবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। সকাল ৮টার মধ্যে ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরে পৌঁছে যাবে।
জানা গেছে, বর্তমানে যশোর-থেকে ঢাকার মধ্যে যে ট্রেন সার্ভিস চালু রয়েছে, তা ঢাকায় পৌঁছানোর মধ্যে ১৪টি স্থানে বিরতি নেয়। এতে ঢাকা থেকে যশোর পৌঁছাতে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা সময় লাগে। বেনাপোল-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেনটি ৭ ঘণ্টার মধ্যে যশোর ও ৮ ঘণ্টার মধ্যে বেনাপোলে পৌঁছে যাবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, রেলপথ মন্ত্রীসহ আমরা বেনাপোল থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হবো।