উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি : পাবনার আমিনপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে একজনকে আইসোলেশনে রেখেছে বেড়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
আজ শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে ২৫ বছর বয়সী এক তরুণকে আইসোলেশনে রাখার খবর পাওয়া গেছে। তাঁর বাড়ি নওগাঁ জেলায়। তিনি ট্রেনে হকারি করে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতেন বলে জানা যায়।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণ শরীরে জ্বর, গলাব্যাথ্যা নিয়ে বুধবার (২৫ মার্চ) শ্বশুর বাড়ি বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানাধীন নাটিয়াবাড়িতে আসেন। তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন দরিদ্র ও ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে বাস করেন। ওই তরুণের অসুস্থ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে জাতসাখিনী ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানান। এতে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকী এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিলন মাহমুদ সেখানে যান। সবকিছু দেখে ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁরা ওই তরুণকে আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে কাশিনাথপুরে অবস্থিত জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে নিয়ে রাখা হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে তিন বেলা খাবারের পাশাপাশি চিকিৎসাও দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন তাঁকে চারবার চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ওই তরুণের শ্বশুরবাড়িতে শিশুসহ ১৬ জন সদস্য রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জন্য প্রসানের পক্ষ থেকে ১০ কেজি চালসহ অন্যান্য শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।
জাতসাখিনী ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু বলেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ইউএনও মহোদয়কে জানানো হয়। খবর পেয়ে তিনি ওই তরুণকে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করেছেন।
ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, ওই তরুণের গায়ে জ্বর ও গলাব্যাথা রয়েছে। তার আগে থেকেই টনসিলের সমস্যা ছিল বলে আমাকে জানিয়েছে। এ কারণেও তাঁর গলাব্যাথা হতে পারে। এর পরেও আমরা তাকে আইসোলেশনে রেখে তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছি। ওই তরুণের শ্বশুর বাড়ির লোকজন দরিদ্র হওয়ায় তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে খাবার সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি।
