উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি : পাবনায় একজন ইন্টার্ন ডাক্তার ও নার্সসহ আরও ছয়জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন আট। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ।
নতুন আক্রান্ত ইন্টার্ন ডাক্তার ও নার্স পাবনা জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত। এছাড়া শহরের ইসহাক ডাক্তারের গলিতে একজন আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে চাটমোহরে করোনা শনাক্ত ব্যক্তি হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান মোঃ খলিলুর রহমান (৫৫)। এ ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল আবাসিক কোয়াটার লকডাউন করে দিয়েছে।
এ নিয়ে চাটমোহর মোট ৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হলো।
এ ছাড়া ভাঙ্গুড়ায় দুজন আক্রান্ত হয়েছে। ভাঙ্গুড়ায় আক্রান্ত দু’জন স্বামী-স্ত্রী এবং সদ্য গাজীপুর ফেরত উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়নের মল্লিকচক গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ গণমাধ্যমকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। ফলে ভাঙ্গুড়ায় প্রথম দু’জনের দেহে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব সনাক্ত হলো।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানান, উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মল্লিকচক গ্রামের বাসিন্দা। তারা দু’জন স্বামী-স্ত্রী দীর্ঘদিন গাজীপুর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করত। কিন্তু সারাদেশে করোনাভাইরাস প্রদূর্ভাবের মধ্যেও তারা গাজীপুর থেকে ট্রাক যোগে পালিয়ে গত ১৭ এপ্রিল রাতে বাড়িতে আসে। এরপর স্থানীয় অধিবাসীরা উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে আবগত করলে তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু তাদের শরীরে সামান্য জ্বর দেখা দিলে গত ২৩ তারিখে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাবনা পিবিইএর মাধ্যমে রাজশাহী প্রেরণ করেন। সোমবার রাতে ওই দু’জনের পাঠানো নমুনা পরীক্ষার পর তাদের দেহে কারোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায় । ফলে এ উপজেলায় এই প্রথম দু’জনের দেহে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হলো।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ হালিমা খানম জানান, গত ২৭ এপ্রিল পযর্ন্ত এ উপজেলা থেকে ত্রিশ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ছাব্বিশ জনের পরীক্ষার রির্পোট এসেছে। তার মধ্যে চব্বিশ জনের নেগেটিভ ও দুই জনের পজেটিভ এসেছে এবং বাকী চারজনের রির্পোট এখনো হাতে আসেনি।
