পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাজিদ কন্সট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী শাহাদত হোসেনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।
রোববার (১৭ মে) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সেলিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।
ভার্চুয়াল আদালতে ভিডিও কনফারেন্সে সাহাদতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
আদালতের আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের শাহাদত হোসেনসহ ১৩ প্রকৌশলী ও ঠিকাদারকে কারাগারে পাঠান নিম্ন আদালত।
অন্যরা হলেন, রূপপুর প্রকল্পের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল, পাবনা গণপূর্ত উপ-বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সুমন কুমার নন্দী, মোহাম্মদ আবু সাঈদ, মো. জাহিদুল কবির, মো. শফিকুল ইসলাম ও মো. রওশন আলী, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, মোহাম্মদ তাহাজ্জুদ হোসেন, আহমেদ সাজ্জাদ খান, সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক খান ও মো. আমিনুল ইসলাম এবং মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী আসিফ হোসেন।
দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্পের আসবাবসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজে ‘অস্বাভাবিক’ ব্যয়ের অভিযোগ ওঠার পর প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়।
ওই ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটিও করা হয়। সেখানে একটি বালিশের পেছনে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা ব্যয় দেখানোর খবর গণমাধ্যমে আসে। গত বছরে দেশে সর্বাধিক আলোচিত বিষয়টি রুপপুরের বালিশকান্ড হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
