উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার স্থলচরে যমুনায় ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় নদীর খাসকাউলিয়া ও কাঠালিয়া থেকে আরও ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে মোট ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো। এখনো ৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। এঘটনায় ৫৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসন প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা সহায়তা দিচ্ছে।
চৌহালী থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমকে জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে এনায়েতপুর ঘাট থেকে ইব্রাহিম মাঝির ইঞ্জিন চালিত একটি নৌকা চৌহালীতে যাবার পথে স্থলচর এলাকায় পৌছলে প্রচন্ড বাতাসের কবলে পড়ে। তখন ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি যমুনায় ডুবে যায়।
স্থানীয়রা ৫৪ জনকে জীবিত ও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে ১০ জনের লাশ উদ্ধার করে। এরা হলো বেলকুচির গয়নাকান্দি গ্রামের মৃত জহির ফকিরের ছেলে পাষান ফকির (৬৫), কলাগাছির শামীম হোসেনের ছেলে নাইম হোসেন (৪), শাহজাদপুরের কৈজুরীর জয়পুরার আমজাদ হোসেন (৪৫), আজিজুল হক (৩৫), সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পানিয়াবাড়ি গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে কোবাদ আলী (৪৫), মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে বকুল হোসেন (৩৮), এনায়েতপুরের কামালপুরের কোরবান আলীর ছেলে শাহ আলম (৩৮) এবং অন্যরা অজ্ঞাত।
এদিকে শুক্রবার সকালে খাসকাউলিয়ায় ১ জন এবং কাঠালিয়া চরে ১ জনের লাশ নদীতে ভেসে উঠলে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় উদ্ধার করে পুলিশ। ধারনা করা হচ্ছে বাকি নিখোঁজ যাত্রীদেরও সলিল সমাধী হয়েছে।
এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা জানিয়েছে, তারা শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার শ্রমজীবি মানুষ। সবাই টাঙ্গাইলের করটিয়া ও মির্জাপুরে ধানকাটার জন্য যাচ্ছিল। নৌকায় ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলায় এই নৌকা ডুবির জন্যও অনেকটা দায়ী।
এছাড়া সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদ জানান, ঈদের পরে এমন এই ঘটনা পুরো জেলা বাসীকে মর্মাহত করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
