পাবনা প্রতিনিধি,(৬ জুন): পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের নতুন রুপপুর আঁখ সেন্টারের পাশে নিজ বাড়ির সামনে এম্বুলেন্সে করে মরদেহ ফেলে রেখে যাওয়ার সময় এক ব্যাক্তিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা। নিহত ব্যাক্তি ওই এলাকার জহুরুল ইসলাম (৪০)। আজ শনিবার (৬ জুন) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আটককৃত ব্যাক্তি ঈশ্বরদীর মুশুড়িয়া পাড়ার বাসিন্দা নিয়ামত আলী (৪২)।
স্থানীয়রা জানান, পাবনা শহরের পাঁথরতলা থেকে এম্বুলেন্সে করে মরদেহ এনে মৃত জহুরুলের পৈত্রিক বাড়ির সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছিল নিয়ামত আলী।
জহুরুল নতুন রুপপুর আঁখ সেন্টারের নিকটবর্তী স্থায়ী বাসিন্দা শাহদত ইসলামের ছেলে। তার প্রথম স্ত্রী শারমিন খাতুন সাথী ১ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করে। অন্যদিকে জহুরুল ছোট বউ শান্তনা আর সেই পক্ষের ১ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া করে বসবাস করতেন।
সর্বশেষ জহুরুলের অবস্থান ছিল পাবনার পাঁথরতলা মহল্লায়। এখান থেকেই জহুরুলের লাশ এম্বুল্যান্স ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে আটক নিয়ামত আলী জানান, পাঁথরতলার জনৈক ব্যাক্তির নির্দেশে ভাড়ায় লাশ পৌঁছে দিতে এসেছে বলে জানায়। ওদিকে প্রায় ঠিক একই সময়ে জহুরুলের ছোট বউ শান্তনা ছেলে মেয়ে ভাইসহ একটি মাইক্রোবাসে করে তার বাবার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়া থেকে জহুরুলের পৈত্রিক বাড়িতে এসে পৌছায়। পাবনার পাঁথরতলার জনৈক ওই একই ব্যাক্তি শান্তনাকেও জহুরুলের নিহতের সংবাদ জানিয়ে তাদেরকে রুপপুর আসতে বলে। সে মোতাবেক তারা তড়িঘড়ি করে রুপপুর এসে পৌছায়। তবে জহুরুলের মত্যুর বিষয়ে কিছুই জানেনা বলে জানান তারা।
এদিকে জহুরুলের গলায়, কানের নীচেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মৃত্যুর সঠিক কারন এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত জানা না গেলেও রহস্য জনক মত্যু বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বাহাউদ্দিন ফারুকী বিপিএম পিপিএম গণমাধ্যমকে জানান, জহুরুলের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনসহ আমরা আইনগত সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যেই প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য নিহত জহুরুলের ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আটক ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে বলেও জানান ওসি।