এস,এম, আজিজুল হক; রাজনীতিতে চড়াই উৎড়াই বা পরিবর্তণ পরিমার্জণ নতুন কিছু নয়। কিন্তু করোনার এই দুঃসময়ে পাবনা তথা বেড়া উপজেলায় ক্ষমতাশীন দলের দ্বন্দ কোন্দল চরম সীমায় পৌছে গেছে।
ত্রাণ বন্টনে দুর্ণীতির অভিযোগে উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কোরবান আলী গ্রেফতার হওয়ার পর তার পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল বাতেনকে দলীয় সকল পদ থেকে অব্যহতী দেয়া হয়। সেই থেকে মোড় নিতে থাকে বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বেড়া পৌর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম।
ইতিমধ্যে বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম অনেকটা জোরাতালী দিয়ে চলতে থাকে এবং ওই পদে নির্বানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীতা নির্বাচন নিয়ে বিরোধ এখন অনেকটাই তুঙ্গে। পৌর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম নিজেকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করে বিরাট শো-ডাউন করে এবং ওই শো-ডাউন থেকে তিনি অব্যহতী প্রাপ্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল বাতেনের অব্যহতী আদেশ প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান। এলাকায় নিজের প্রার্থীতার পোস্টারে ছেয়ে দিয়েছেন তিনি।
এ দিকে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান মানু অভিযোগ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন যে অব্যহতী প্রাপ্ত উপজেলা সভাপতি তাকে না জানিয়ে তার অনুসারীদের নিয়ে অবৈধ ভাবে মিটিং করে পৌর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি নজরুল ইসলামকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করার জন্য মনোনিত করেছেন। আব্দুল মান্নান মানু নিজেও ওই পদে নির্বাচনের প্রার্থী হবেন বলে লিখিত ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবী করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আব্দুল মান্নান আরো অভিযোগ তুলে বলেন, জামাত বিএনপিদের দলে ভিড়িয়ে আব্দুল বাতেন অবৈধ ভাবে এখনও দলীয় কার্যক্রম হাতের মুঠোয় রাখার চেষ্টা করছেন।
বেড়া পৌর তথা উপজেলা আওয়ামী লীগের এই চরম দ্বন্দকালীন সময়ে স্থানীয় এমপি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এড.শামসুল হক টুকু অনেকটাই নিরব রয়েছেন। দলের দায়ীত্বশীল একাধীক নেতাকর্মীর সাথে কথা বলে চলমান এই দ্বন্দ ও কোন্দলের ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে।
