পাবনা প্রতিনিধি, ২৬ অক্টোবর: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। সোমবার (২৬ অক্বিটোবর) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
আত্মহত্যাকারী ছাত্রীর নাম ফারিহা তাবাসসুম রুম্পা। তিনি ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। থাকতেন রোকেয়া হলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। জানতে পেরেছি মৃত্যুর কারণ পারিবারিক। আমরা মেয়েটির বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে তার সব তথ্য বের করেছি। এগুলো আমরা পুলিশ বাহিনীর হাতে দিয়েছি। আমরা তাদের আহবান জানিয়েছি এ ঘটনায় কেউ যদি দোষী হয়, তাদেরও যেন আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়।
জানা যায়, মেয়েটির বাবার নাম ফরিদ উদ্দীন মণ্ডল। তিনি একজন সরকারি চাকরিজীবী।
নিহতের সহপাঠীদের ধারণা, পরিবারের চাপে ওই ছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
ছাত্রীর সহপাঠী হাসনাত আবদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, রুম্পা খুবই মার্জিত, ভদ্র, মেধাবী এবং প্রচণ্ড রকমের ধার্মিক ছিল। আমরা চার বছর রুম্পার সাথে ক্লাস করেছি, কিন্তু একদিনও কোন ছেলেই তার চেহারা দেখেনি। তার আত্মহত্যার খবর শুনে আমরা নিশ্চিত হতে পারছিলাম না, এই মেয়েটা আসলেই রুম্পা কিনা। কারণ কেউই তাকে দেখেনি।
হাসনাত বলেন, ক্লাস সেভেন থেকে রুম্পার সাথে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রুম্পার ভাই প্রচণ্ড রকমের বদ মেজাজী। রুম্পার সাথে যে ছেলের সম্পর্ক ছিল সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের না হওয়ায় পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। হয়তো জোর করেই বিয়ে দিতে চেয়েছিল। তাই রুম্পা আত্মহত্যা করেছে।
