স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা : সব শ্রেণি পেশার মানুষের সহযোগিতায় ৬০ পৌরসভায় শান্তিপূর্ণ ভোট সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভালো ছিল বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, সকাল থেকেই ভোটাররা লাইন দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিয়েছেন। এই নির্বাচনে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে আশা করছি।

তবে সম্পূর্ণ ফল আসার পর সঠিক সংখ্যা জানা যাবে।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় ঢাকায় নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ইসি সচিব।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। দুই-একটি জায়গায় দুষ্কৃতিকারীরা ভোটে বিঘ্ন ঘটাতে চেয়েছিল।
তবে নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এগুলোকে সম্পূর্ণরূপে কন্ট্রোল নিয়েছে এবং তারা নির্বাচনে পরিবেশ নষ্ট করার সুযোগ দেননি। কিছু দুষ্কৃতিকারীরা ভোট এলেই এমনটি করে, তারা সুযোগসন্ধানী।
তিনি আরো বলেন, ৬০টি পৌরসভা নির্বাচনে বোয়ালমারী পৌরসভার একটি কেন্দ্রে ১২টার পর কিছু দুষ্কৃতিকারী হঠাৎ করে কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনতাই করার চেষ্টা করে এবং ভোটের বাক্স ভেঙে ফেলায় প্রিজাইডিং অফিসার ওই কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করেন। কিশোরগঞ্জে ভোটের বাক্স ছিনতাই হওয়ায় প্রিজাংডিং অফিসার সেটিরও ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করেন। এছাড়া সব জায়গায় ভোট সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হয়েছে।
পৌরসভা ভোটের দ্বিতীয় ধাপে কত শতাংশ ভোট পড়েছে সেই ধারণা দিয়ে ইসি সচিব বলেন, কোনো কেন্দ্রে ৮০ শতাংশ, কোনো কেন্দ্রে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়েছে।
তিনি বলেন, এবারের পৌর নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে দেশে ৬০টি পৌরসভার মধ্যে ২৯টিতে ইভিএম এবং ৩১টিতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট হয়েছে। তবে ইভিএমে ভোট বেশি পড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে।
নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন ছিল। ভোটকেন্দ্র ছাড়াও নির্বাচনী এলাকাসমূহে বিজিবি, পুলিশ, আনসার মোতায়েন করা হয়।